অবাধ তথ্য প্রবাহের গুরুত্ব
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা দারিদ্র বিমোচনের ক্ষেত্রে অবাধ তথ্য প্রবাহের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, যে চীনে কমুইনিষ্ট শাসকরা বছরের পর বছর ধরে পাশ্চাত্যে মন্দ ও খারাপ জিনিস গুলো নিজস্ব সংস্কৃতিতে প্রবেশ করতে পারে এই দোহাই দিয়ে অবাধ তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ
প্রদান বন্ধ রেখেছিল তারাই আবার জনগনের অবাধ তথ্য আদান –প্রদান উম্মুক্ত করে দিল এর কারণ তারা সর্বাধুনিক কলা কৌশল এবং বাজারের অবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাচ্ছে। বেইজিং ওর্য়াল্ড ব্যাংক অফিসের একজন ইনফরমেশন টেকনোলজি স্পেশালিষ্ট বলেছেন যে, ‘‘ব্যবসায়ীরা জানে যত তাড়াতাড়ি তারা বির্হিবিশ্বের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতো তারাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে উম্মক্তকরে দিয়েছে চায়নাকে। আর জাপানের কথাতো বলার অপেক্ষা রাখে না কেননা জাপান আজ রীতিমত পশ্চিম ইউরোপ এবং আমেরিকার মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে নতুন নতুন শক্তি হিসাবে অর্বিভূত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন এবং ভার। এদের পদাংখ অনুসরণ করে শ্রীলংকা, পারিকস্তান, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম এগিয়ে চলেছে। শুধু পিছিয়ে রয়েছি আমরা। তথ্য পাচার হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় দুই যুগ পিছনে ঠেলে দেয়া হয়েছে তবে আশার কথা বহু চড়াই উত্তরাই পেরিয়ে ২০০৬ ইং সালের ২১ মে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সাবমেরিন ক্যাবলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এখন সম্ভবপর হয় নাই।
Post a Comment