সমাজ জীবনে তথ্য ও প্রযুক্তিন প্রভাব
আমরা অনেক শুনেছি প্রতিবাদ, আন্দোলনে ইন্টারনেট এর প্রভাব নিয়ে। আমরা শুনেছি তথ্য বিপ্লবের কথা এবং তা কিভাবে চীন, রাশিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়নের কিংবা ইরানের মত দেশ গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
ধরে নেয়া হতো আসলে ইন্টারনেট খুবই চকৎকার একটি প্রযুক্তি যখন এটি ব্যবহার হয় গনতন্ত্র প্রচারে। তখনি আসেন Cyber utopianism এর ভাবধারায় বিশ্বাসী লোকজন। Cyber utopianism হলো তারা যারা সচেতন ইন্টারনেট স্বাধীনতার অন্ধকার দিক টা নিয়ে সচেতন। তারা বিশ্বাস করত ইন্টারনেট এর দ্রুত তথ্য প্রবাহ সমাজকে পরিবর্তন করবে এবং তা ভাল হবে। তাদের এই একজন গর্ডন ব্রাউন বলেন- এতে তথ্য প্রবাহ হবে দ্রুত এবং মানুষের কাছে যাবে। এবং জনগন নিজস্ব মতামত তৈরি করবে। ধারণা করা হয় ব্লগ বা সামাজিক ওয়েবসাইট গুলো আগেকার দিনে ফ্যাক্স এর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
কাজ প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ যেমন তার জীবনযাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে তেমন এর অপব্যবহারের ফলও কিন্তু কম নয়। এমন একটি নমুনা হল অনলাইনে প্রতারণা ও এর মাধ্যমে হয়রানির শিকার। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এখন প্রায় সকলের কাছে জনপ্রিয়। ফেসবুকের মাধ্যমে উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণরা নানা অপরাধেও জড়িয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই এর শিকার হচ্ছে। ভাবছেন এর কি কোন প্রতিকার নেই। হ্যাঁ আছে।
তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর ৫৭ (১) ধারাতে বলা হয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে যা মিথ্যা ও অশ্লীল যার দ্বারা কারো মানহানি ঘটে বা ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় আর এ ধরনের তথ্যগুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হলে অনধিক ১০ বছর কারদন্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান আছে।
আবার পর্নোগ্রাফি আইন ২০১২ এ আছে, কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে তিনি এ ধরণের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০০০০০ (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আবার অনেকে এইসব আইন সম্পের্কে জানিনা বা জেনেও আইনের আশ্রয় নেই না বলে এসব অপরাধ ও অপরাধীকে দমানো কঠিন হচ্ছে।
বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবন ওতোপ্রতোভাবে জড়িত মিডিয়া ও প্রযুক্তির সঙ্গে, আর সেই মাধ্যমগুলো হচ্ছে সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইল, কম্পিউটার-ল্যাপ্টপ, ইন্টারনেট সহ আরো উন্নত প্রযুক্তি।
বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। মুর্হুতের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের যেকোন প্রান্তের যেকোন খবর। ইন্টারনেট হলো এমন একটি মাধ্যম যার সাহায্যে জানা জাচ্ছে যে কোন দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস, দর্শন, ভৌগলিক অবস্থান, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক অবস্থান, দৈনন্দিন চলমান সংবাদ সম্পর্কে সম্যক ধারনা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মিডিয়া ও প্রযুক্তির মূল ব্যবহারকারী হচ্ছে এদেশের তরুন সমাজ। এটা অবশ্যই অনেক ভাল দিক যে, আমাদের দেশের তরুন-তরুনীরা বিশ্বের সাথে তাল মিলাচ্ছে। কিন্তু কথা হচ্ছে মিডিয়া ও প্রযুক্তির ব্যবহারে আমাদের তরুন-তরুনীরা কতটুকু সচেতন?
আমি একটা কথাই বলতে চাই শিক্ষিত ও সচেতন তরুন সমাজ অবশ্যই মিডিয়া ও প্রযুক্তির সুফল ভোগ করছে। শুধু মাত্র মিডিয়া ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই আমাদের শিক্ষিত তরুন সমাজ গড়ে তুলছে এক বিশাল কর্মক্ষেত্র। কিন্তু বর্তমানে শহুরে জীবন হতে শুরু করে মফস্বল ও গ্রামের অর্ধশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত তরুনরাও খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ছোয়া। কিন্তু তাদের অনকেরই নেই সচেতনতা। তাইতো মিডিয়া ও প্রযুক্তির অপব্যবহারই হচ্ছে বেশি।
বেড়ে যাচ্ছে আত্মহত্যা,খুন, অপহরন ও ইভটিজিং সহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ। আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক মনভাবাপন্ন। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা বাজার ধরার কৌশল হিসাবে বেছে নিচ্ছে মিডিয়াকে। বিজ্ঞাপন মিডিয়াকে পুরো পুরি গ্রাস করে ফেলেছে। আর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নারী-পুরুষ সকলেই পন্যে পরিনত হচ্ছে। যেখানে সচেতনতার চেয়ে পুজি ও মুনাফাই প্রধান।
বিশ্বব্যাপি ইন্টারনেবট এর ব্যবহার প্রাচ্য দেশ গুলোতে ছড়িয়ে দেয়ার যৌক্তিকতা কিছুটা আর্থিক এবং সাময়িক ! ইন্টারনেট বিপলবের শুরুর দিকে প্রচার করা হয় এতে সবাই “connected” থাকবে ! বলা হত এতে গনতন্ত্র হবে অনিবার্য ! কিন্তু তার পেছনে অন্য রাজনৈতিক চাল ও ছিল ও বটে!কি রকম, দেখা যাক আমেরিকানরা এজন্য দ্রুত চীন, রাশিয়, ইরান এর মত দেশ গুঃেলাকে টেকনোলজি ব্যবহার করতে দেয় এই বলে এতে গনতন্ত্র সুসম্মত হবে! তারপর আসল্যে আইপড এর উদারতা ! প্রাচ্যর রাজনৈতিক নীতি নির্ধারকরা বিশ্বাস করত যদি কারো কাছে আইপড, ল্যাপটপ এর মত জিনিস থাকবে তারা ধীরে ধীরে প্রাচ্য ভার ধারায় বিশ্বাসী হয়ে উঠবে। আমেরিকান লেখক , কলামিষ্ট থমাস ফ্রাইডমেন বলেন , “রাশিয়া, চীন, ইরানের মত দেশ গুলো দখল করার জন্য বোমা নয় আইপড ফেলো !!” এতে অতি সূক্ষভাবে মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক , এবং অর্থনৈতিক মানসিকতার পরিবর্তন হবে এবং তা আমেরিকার জন্য ভালো !এটি অনেকটা হিন্দি সিরিয়াল দেখতে দেখতে হিন্দিভাষী হয়ে উটার মত! ক্রমাগত ভাবে মানুষের মনোজগতে ভাষ্য পৌছে দেয়ার দ্বারা মানুষের ভিতর পরিবর্তন নিয়ে আসা! প্রাচ্যের প্রযুক্তি তাদের কে প্রাচ্য দেশগুলোর গোলামে পরিণত করবে! এতে ঐ সব দেশে নানা ধরনের গোলমাল তৈরি হবে নারী কিংবা খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে!
কিছু রাজনৈতিক নেতা ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে ভয় পান! এতে হয়তো জনগনের মত প্রকাশ দৃশ্যমান হয়ে পড়বে ! লিবিয়ান প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি অন্যতম ! কিছু চাইনিজ ব্লগার সবার আগে ব্লগিং এর দ্বারা সরকারের সমালোচনা শুরু করে! কিছু দেশে সরকার এতে বাধা তৈরী করে ! উদাহরণ স্বরুপ থাইল্যান্ড এ ২০০৮ সালে ২৪ ঘন্টার বন্ধ করে দেয়া হয় প্রায় ৩০০০ ওয়েরসাইট! ফেসবুক , টুইটার দ্রুত মানুষের ধারণা পরিবর্তনে সাহায্য করছে! নিঃসন্দেহে যুর সমাজে সামাজিক পরিবর্তনের বাহক !
ভাবার সময় এসে পড়েছে কিভাবে প্রযুক্তি সমাজে প্রভার বিস্তার করে । কিসে আমাদের জনৎ ভালো । সব প্রযুক্তি মানব কল্যানে তৈরী ভাবলেও তা কিছূ টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক ও । যা আমরা খোলা চোখে ধরতে পারিনা। নিজস্ব সংস্কৃতি আর ইতিহাসের প্রতি সুমুন্নত থাকলেই কেবল সকল প্রকার প্রযুক্তির খারাপ দিক গুলো এড়িয়ে লাভটা আদায় করে নেয়া সম্বর।আমরা আসলে কতটা সচেতনস , জাতি হিসেবে , ব্যক্তি হিসেবে , সমাজ হিসেবে ।
ধরে নেয়া হতো আসলে ইন্টারনেট খুবই চকৎকার একটি প্রযুক্তি যখন এটি ব্যবহার হয় গনতন্ত্র প্রচারে। তখনি আসেন Cyber utopianism এর ভাবধারায় বিশ্বাসী লোকজন। Cyber utopianism হলো তারা যারা সচেতন ইন্টারনেট স্বাধীনতার অন্ধকার দিক টা নিয়ে সচেতন। তারা বিশ্বাস করত ইন্টারনেট এর দ্রুত তথ্য প্রবাহ সমাজকে পরিবর্তন করবে এবং তা ভাল হবে। তাদের এই একজন গর্ডন ব্রাউন বলেন- এতে তথ্য প্রবাহ হবে দ্রুত এবং মানুষের কাছে যাবে। এবং জনগন নিজস্ব মতামত তৈরি করবে। ধারণা করা হয় ব্লগ বা সামাজিক ওয়েবসাইট গুলো আগেকার দিনে ফ্যাক্স এর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
কাজ প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ যেমন তার জীবনযাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে তেমন এর অপব্যবহারের ফলও কিন্তু কম নয়। এমন একটি নমুনা হল অনলাইনে প্রতারণা ও এর মাধ্যমে হয়রানির শিকার। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এখন প্রায় সকলের কাছে জনপ্রিয়। ফেসবুকের মাধ্যমে উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণরা নানা অপরাধেও জড়িয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই এর শিকার হচ্ছে। ভাবছেন এর কি কোন প্রতিকার নেই। হ্যাঁ আছে।
তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর ৫৭ (১) ধারাতে বলা হয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে যা মিথ্যা ও অশ্লীল যার দ্বারা কারো মানহানি ঘটে বা ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় আর এ ধরনের তথ্যগুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হলে অনধিক ১০ বছর কারদন্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান আছে।
আবার পর্নোগ্রাফি আইন ২০১২ এ আছে, কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে তিনি এ ধরণের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০০০০০ (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আবার অনেকে এইসব আইন সম্পের্কে জানিনা বা জেনেও আইনের আশ্রয় নেই না বলে এসব অপরাধ ও অপরাধীকে দমানো কঠিন হচ্ছে।
বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবন ওতোপ্রতোভাবে জড়িত মিডিয়া ও প্রযুক্তির সঙ্গে, আর সেই মাধ্যমগুলো হচ্ছে সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইল, কম্পিউটার-ল্যাপ্টপ, ইন্টারনেট সহ আরো উন্নত প্রযুক্তি।
বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। মুর্হুতের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের যেকোন প্রান্তের যেকোন খবর। ইন্টারনেট হলো এমন একটি মাধ্যম যার সাহায্যে জানা জাচ্ছে যে কোন দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস, দর্শন, ভৌগলিক অবস্থান, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক অবস্থান, দৈনন্দিন চলমান সংবাদ সম্পর্কে সম্যক ধারনা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মিডিয়া ও প্রযুক্তির মূল ব্যবহারকারী হচ্ছে এদেশের তরুন সমাজ। এটা অবশ্যই অনেক ভাল দিক যে, আমাদের দেশের তরুন-তরুনীরা বিশ্বের সাথে তাল মিলাচ্ছে। কিন্তু কথা হচ্ছে মিডিয়া ও প্রযুক্তির ব্যবহারে আমাদের তরুন-তরুনীরা কতটুকু সচেতন?
আমি একটা কথাই বলতে চাই শিক্ষিত ও সচেতন তরুন সমাজ অবশ্যই মিডিয়া ও প্রযুক্তির সুফল ভোগ করছে। শুধু মাত্র মিডিয়া ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই আমাদের শিক্ষিত তরুন সমাজ গড়ে তুলছে এক বিশাল কর্মক্ষেত্র। কিন্তু বর্তমানে শহুরে জীবন হতে শুরু করে মফস্বল ও গ্রামের অর্ধশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত তরুনরাও খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ছোয়া। কিন্তু তাদের অনকেরই নেই সচেতনতা। তাইতো মিডিয়া ও প্রযুক্তির অপব্যবহারই হচ্ছে বেশি।
বেড়ে যাচ্ছে আত্মহত্যা,খুন, অপহরন ও ইভটিজিং সহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ। আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক মনভাবাপন্ন। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা বাজার ধরার কৌশল হিসাবে বেছে নিচ্ছে মিডিয়াকে। বিজ্ঞাপন মিডিয়াকে পুরো পুরি গ্রাস করে ফেলেছে। আর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নারী-পুরুষ সকলেই পন্যে পরিনত হচ্ছে। যেখানে সচেতনতার চেয়ে পুজি ও মুনাফাই প্রধান।
বিশ্বব্যাপি ইন্টারনেবট এর ব্যবহার প্রাচ্য দেশ গুলোতে ছড়িয়ে দেয়ার যৌক্তিকতা কিছুটা আর্থিক এবং সাময়িক ! ইন্টারনেট বিপলবের শুরুর দিকে প্রচার করা হয় এতে সবাই “connected” থাকবে ! বলা হত এতে গনতন্ত্র হবে অনিবার্য ! কিন্তু তার পেছনে অন্য রাজনৈতিক চাল ও ছিল ও বটে!কি রকম, দেখা যাক আমেরিকানরা এজন্য দ্রুত চীন, রাশিয়, ইরান এর মত দেশ গুঃেলাকে টেকনোলজি ব্যবহার করতে দেয় এই বলে এতে গনতন্ত্র সুসম্মত হবে! তারপর আসল্যে আইপড এর উদারতা ! প্রাচ্যর রাজনৈতিক নীতি নির্ধারকরা বিশ্বাস করত যদি কারো কাছে আইপড, ল্যাপটপ এর মত জিনিস থাকবে তারা ধীরে ধীরে প্রাচ্য ভার ধারায় বিশ্বাসী হয়ে উঠবে। আমেরিকান লেখক , কলামিষ্ট থমাস ফ্রাইডমেন বলেন , “রাশিয়া, চীন, ইরানের মত দেশ গুলো দখল করার জন্য বোমা নয় আইপড ফেলো !!” এতে অতি সূক্ষভাবে মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক , এবং অর্থনৈতিক মানসিকতার পরিবর্তন হবে এবং তা আমেরিকার জন্য ভালো !এটি অনেকটা হিন্দি সিরিয়াল দেখতে দেখতে হিন্দিভাষী হয়ে উটার মত! ক্রমাগত ভাবে মানুষের মনোজগতে ভাষ্য পৌছে দেয়ার দ্বারা মানুষের ভিতর পরিবর্তন নিয়ে আসা! প্রাচ্যের প্রযুক্তি তাদের কে প্রাচ্য দেশগুলোর গোলামে পরিণত করবে! এতে ঐ সব দেশে নানা ধরনের গোলমাল তৈরি হবে নারী কিংবা খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে!
কিছু রাজনৈতিক নেতা ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে ভয় পান! এতে হয়তো জনগনের মত প্রকাশ দৃশ্যমান হয়ে পড়বে ! লিবিয়ান প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি অন্যতম ! কিছু চাইনিজ ব্লগার সবার আগে ব্লগিং এর দ্বারা সরকারের সমালোচনা শুরু করে! কিছু দেশে সরকার এতে বাধা তৈরী করে ! উদাহরণ স্বরুপ থাইল্যান্ড এ ২০০৮ সালে ২৪ ঘন্টার বন্ধ করে দেয়া হয় প্রায় ৩০০০ ওয়েরসাইট! ফেসবুক , টুইটার দ্রুত মানুষের ধারণা পরিবর্তনে সাহায্য করছে! নিঃসন্দেহে যুর সমাজে সামাজিক পরিবর্তনের বাহক !
ভাবার সময় এসে পড়েছে কিভাবে প্রযুক্তি সমাজে প্রভার বিস্তার করে । কিসে আমাদের জনৎ ভালো । সব প্রযুক্তি মানব কল্যানে তৈরী ভাবলেও তা কিছূ টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক ও । যা আমরা খোলা চোখে ধরতে পারিনা। নিজস্ব সংস্কৃতি আর ইতিহাসের প্রতি সুমুন্নত থাকলেই কেবল সকল প্রকার প্রযুক্তির খারাপ দিক গুলো এড়িয়ে লাভটা আদায় করে নেয়া সম্বর।আমরা আসলে কতটা সচেতনস , জাতি হিসেবে , ব্যক্তি হিসেবে , সমাজ হিসেবে ।
this is a big question
ReplyDelete