আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ।
এলান টিউরিংকে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক। ১৯৫০ সালের দিকে এলান টিউরিং একটি মেশিন বুদ্ধিমান কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য
একটি টেস্ট এর কথা উল্যেখ করে গিয়েছেন, যা টিউরিং টেস্ট নামে পরিচিত। ঐ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেক রিসার্চ হলেও এর পর
অনেক দিন AI নিয়ে রিসার্চ বন্ধ থাকে। প্রধান একটা কারণ হিসেবে ধরা হয় কম্পিউটেশনাল পাওয়ার।
ঐ সময়কার কম্পিউটার গুলো এত পাওয়ারফুল ছিল না।
কম্পিউটারের প্রসেসিং পাওয়ার বাড়ার সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আবার রিসার্চ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে Facebook, Google,
Amazon মিলে AI এর উপর রিসার্চ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। Elon Musk গঠন করেছেন OpenAI নামক প্লাটফরম।
বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য প্রধান যে বিষয়টা দরকার তা হচ্ছে Knowledge Representation & Reasoning।
আর সুন্দর ভাবে Knowledge Representation & Reasoning এর জন্য মানুষের ব্রেইন কিভাবে কাজ করে,
বিজ্ঞানীরা তার অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।
আমরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করি। মঙ্গলে মানুষের কলোনি তৈরি করার স্বপ্ন দেখি। সবই করি এই মস্তিষ্কটাকে কাজে লাগিয়ে।
মহাকাশ অনেক দূরে হয়েও আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। কিন্তু মস্তিষ্কটা কিভাবে কাজ করে, এখনো ঠিক মত আমরা বুঝে
উঠতে পারি নি। যতটুকু বুঝে উঠেছি আমরা, তত টুকু ব্যবহার করেই আমরা বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করছি।
মানুষের মস্তিক নিউরন দ্বারা গঠিত। আমাদের মস্তিষ্কে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে। এগুলো একটা একটার সাথে কানেক্টেড,
একটা নেটওয়ার্ক এর মত। এই জৈবিক নিউরাল নেটওয়ার্ক এর অনুকরণ করেই আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।
আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটোওয়ার্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটা অংশ মাত্র। মূলত এটি হচ্ছে মেশিন লার্নিং এর একটা শাখা।
আর মেশিন লার্নিং হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি শাখা। মেশিন লার্নিং ছাড়া AI এর অন্যান্য বিষয় গুলো হচ্ছে
ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, অবজেক্ট রিকগনিশন, প্যাটার্ন রিকগনিশন, রোবটিক্স, ইভোলিউশনারি কম্পিউটেশন
যেমন জেনেটিক অ্যালগরিদম, ফাজি সিস্টেম, প্রবাবিলিটি, প্রিডিকশন, Knowledge management সহ অন্যান্য।
কম্পিউটার বা যে কোন মেশিন হচ্ছে বোকা বাক্স। এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য ইন্ট্রাকশনের দরকার হয়।
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটার বা যে কোন মেশিনকে কিছু ইন্সট্রাকশন দেই, কম্পিউটার বা মেশিন গুলো
সে অনুযায়ী কাজ করে।
এই মেশিনকে আমরা যে ইন্সট্রাকশনই দিব, মেশিন সে অনুযায়ীই কাজ করবে। এর বাহিরে নিজ থেকে কিছু করতে পারবে না।
মেশিন যেন নিজ থেকে কিছু করতে হলে তার কিছু বুদ্ধি শুদ্ধি লাগবে। মেশিনের বুদ্ধি শুদ্ধিকে আমরা বলি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একটা রোবটের কথা যদি চিন্তা করি, রোবটের বুদ্ধি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
বুদ্ধি জিনিসটা কি?
বুদ্ধি হচ্ছে জ্ঞান আহরণ করা এবং তা প্রয়োগ করার ক্ষমতা। সাধারণ প্রোগ্রাম গুলো জ্ঞান আহরণ করতে পারে না। কিন্তু যে সব মেশিন বা
প্রোগ্রাম এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেন নিজে নিজে কিছু শিখে নিতে পারে, সেগুলোকে আমরা বলি বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম বা বুদ্ধিমান মেশিন।
যেমন গুগল সার্চ প্রোগ্রামটা একটা বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম। আমরা কিছু সার্চ করলে এটি আমাদের আগের সার্চ হিস্টোরি, বয়স, লোকেশন
ইত্যাদির উপর নির্ভর করে আমাদের সার্চ রেজাল্ট দেখায়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যদি আমরা খুব উন্নত করতে পারি, হয় এটি হবে সবচেয়ে দারুণ একটা পরিবর্তন অথবা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিবর্তন।
এমনকি আমাদের অস্তিত্বও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আমরা মানুষেরা বুদ্ধিমান, কিউরিয়াস। আমরা দেখতে চাই কি হবে ফিউচারে।
এটাই হচ্ছে বুদ্ধি। আর এ জন্যই আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ডেভেলপ করে যাবো। আমরা চেষ্টা করে যাবো
কম্পিউটারকে মানুষের মত বুদ্ধিমান করে তোলার।
একটি টেস্ট এর কথা উল্যেখ করে গিয়েছেন, যা টিউরিং টেস্ট নামে পরিচিত। ঐ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেক রিসার্চ হলেও এর পর
অনেক দিন AI নিয়ে রিসার্চ বন্ধ থাকে। প্রধান একটা কারণ হিসেবে ধরা হয় কম্পিউটেশনাল পাওয়ার।
ঐ সময়কার কম্পিউটার গুলো এত পাওয়ারফুল ছিল না।
কম্পিউটারের প্রসেসিং পাওয়ার বাড়ার সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আবার রিসার্চ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে Facebook, Google,
Amazon মিলে AI এর উপর রিসার্চ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। Elon Musk গঠন করেছেন OpenAI নামক প্লাটফরম।
বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য প্রধান যে বিষয়টা দরকার তা হচ্ছে Knowledge Representation & Reasoning।
আর সুন্দর ভাবে Knowledge Representation & Reasoning এর জন্য মানুষের ব্রেইন কিভাবে কাজ করে,
বিজ্ঞানীরা তার অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।
আমরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করি। মঙ্গলে মানুষের কলোনি তৈরি করার স্বপ্ন দেখি। সবই করি এই মস্তিষ্কটাকে কাজে লাগিয়ে।
মহাকাশ অনেক দূরে হয়েও আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। কিন্তু মস্তিষ্কটা কিভাবে কাজ করে, এখনো ঠিক মত আমরা বুঝে
উঠতে পারি নি। যতটুকু বুঝে উঠেছি আমরা, তত টুকু ব্যবহার করেই আমরা বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করছি।
মানুষের মস্তিক নিউরন দ্বারা গঠিত। আমাদের মস্তিষ্কে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে। এগুলো একটা একটার সাথে কানেক্টেড,
একটা নেটওয়ার্ক এর মত। এই জৈবিক নিউরাল নেটওয়ার্ক এর অনুকরণ করেই আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।
আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটোওয়ার্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটা অংশ মাত্র। মূলত এটি হচ্ছে মেশিন লার্নিং এর একটা শাখা।
আর মেশিন লার্নিং হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি শাখা। মেশিন লার্নিং ছাড়া AI এর অন্যান্য বিষয় গুলো হচ্ছে
ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, অবজেক্ট রিকগনিশন, প্যাটার্ন রিকগনিশন, রোবটিক্স, ইভোলিউশনারি কম্পিউটেশন
যেমন জেনেটিক অ্যালগরিদম, ফাজি সিস্টেম, প্রবাবিলিটি, প্রিডিকশন, Knowledge management সহ অন্যান্য।
কম্পিউটার বা যে কোন মেশিন হচ্ছে বোকা বাক্স। এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য ইন্ট্রাকশনের দরকার হয়।
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটার বা যে কোন মেশিনকে কিছু ইন্সট্রাকশন দেই, কম্পিউটার বা মেশিন গুলো
সে অনুযায়ী কাজ করে।
এই মেশিনকে আমরা যে ইন্সট্রাকশনই দিব, মেশিন সে অনুযায়ীই কাজ করবে। এর বাহিরে নিজ থেকে কিছু করতে পারবে না।
মেশিন যেন নিজ থেকে কিছু করতে হলে তার কিছু বুদ্ধি শুদ্ধি লাগবে। মেশিনের বুদ্ধি শুদ্ধিকে আমরা বলি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একটা রোবটের কথা যদি চিন্তা করি, রোবটের বুদ্ধি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
বুদ্ধি জিনিসটা কি?
বুদ্ধি হচ্ছে জ্ঞান আহরণ করা এবং তা প্রয়োগ করার ক্ষমতা। সাধারণ প্রোগ্রাম গুলো জ্ঞান আহরণ করতে পারে না। কিন্তু যে সব মেশিন বা
প্রোগ্রাম এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেন নিজে নিজে কিছু শিখে নিতে পারে, সেগুলোকে আমরা বলি বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম বা বুদ্ধিমান মেশিন।
যেমন গুগল সার্চ প্রোগ্রামটা একটা বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম। আমরা কিছু সার্চ করলে এটি আমাদের আগের সার্চ হিস্টোরি, বয়স, লোকেশন
ইত্যাদির উপর নির্ভর করে আমাদের সার্চ রেজাল্ট দেখায়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যদি আমরা খুব উন্নত করতে পারি, হয় এটি হবে সবচেয়ে দারুণ একটা পরিবর্তন অথবা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিবর্তন।
এমনকি আমাদের অস্তিত্বও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আমরা মানুষেরা বুদ্ধিমান, কিউরিয়াস। আমরা দেখতে চাই কি হবে ফিউচারে।
এটাই হচ্ছে বুদ্ধি। আর এ জন্যই আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ডেভেলপ করে যাবো। আমরা চেষ্টা করে যাবো
কম্পিউটারকে মানুষের মত বুদ্ধিমান করে তোলার।
Post a Comment