গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম
গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম : বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ বলতে সাধারণত এমন একটি ধারণাকে বোঝানো হয় যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন পরস্পরের সাথে সহজে যাতায়াত ও ভ্রমণ, গণমাধ্যম ও ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত থেকে এবং ক্রমেই একটি একক কমিউনিটিতে পরিণত হয়। গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রামকে নিম্নোক্তভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়-
ক. অক্সফোর্ড আমেরিকান ডিকশনারি অনুযায়ী- “বিশ্বকে বিবেচনা করা হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত একক সম্প্রদায়। (The world considered a single community by telecommunication)”
খ. উইকিপিডিয়ার উদ্ধৃতি অনুযায়ী- “বিশ্বগ্রাম হচ্ছে একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কাঠামো। (The global village is the sociological and cultural structure.)”
বিশ্বগ্রামের সুবিধা :
১. পুরো পৃথিবী মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। দূরত্বের ব্যবধান এখন আর কোনো বিষয় নয়।
২. তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ বর্তমানে গোটা বিশ্বের সাথে অতি সহজে যোগাযোগ করতে পারছে।
৩. ইন্টানেটের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে অন্য প্রান্তের খবর অতি অল্প সময়ে নেয়া যাচ্ছে।
৪. আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে একদেশের লোক অন্য দেশের কোনো বায়ারের কাজ ঘরে বসেই করতে পারছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারছে।
৫. ই-লানির্ং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বিশ্বের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসেবা গ্রহণ করতে পারছে।
৬. অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারছে।
৭. টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে নিজ দেশে থেকেই বিশ্বের অন্য কোনো দেশের দক্ষ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপথ্য নিতে পারছে।
৮. সাংস্কৃতিক তথ্যাদি বিনিময় করতে পারছে।
৯. বিশ্বভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হচ্ছে।
বিশ্বগ্রামের অসুবিধা:
১. ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ্যাকিং এ মাধ্যমে গোপনীয় তথ্য চুরি হচ্ছে।
২. সাইবার আক্রমণ সংঘটিত হচ্ছে।
৩. ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরির মাধ্যমে ই-কমার্স পদ্ধতিটিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
৪. টরেন্ট বা ফাইল শেয়ার সাইটগুলোর মাধ্যমে কপিরাইটের বস্তুসমূহের বিতরণ ও ব্যবহার উৎসাহিত হচ্ছে।
৫. পর্ণোগ্রাফির মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
৬. মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘিত হচ্ছে।
বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রধান উপাদানসমূহঃ-
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রামের ধারণা সহজেই বাস্তবায়ন ও এর প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। নিচে বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রধান উপাদানসমূহের বর্ণনা দেয়া হলো। যথাঃ
১. হার্ডওয়্যার (Hardware) : বিশ্বগ্রামে যে কোন ধরনের যোগাযোগ ও তথ্য আদানÑপ্রদানের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত হার্ডওয়্যার সমাগ্রীর। হার্ডওয়্যারের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার এবং এর সাথে সংযুক্ত পেরিফেরাল যন্ত্রপাতি, ল্যান্ড বা মোবাইল ফোন, স্মার্ট ফোন, অডিও-ভিডিও রেকর্ডার, স্যাটেলাইট, রেডিও, টেলিভিশন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুুক্তি নির্ভর বিভিন্ন ডিভাইস।
২. সফটওয়্যার (Software): বিশ্বাগ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি সফটওয়্যার প্রয়োজন। সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজিং সফটওয়্যার, কমিউনিকেটিং সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং ভাষা ইত্যাদি।
৩. নেটওয়ার্ক সংযুক্ততা বা কানেকটিভিটি (Connectivity): বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড হলো নিরাপদভাবে রিসোর্স শেয়ার করার নেটওয়্যার্ক বা কানেকটিভিটি যার মাধ্যমে উপাত্ত ও তথ্য প্রতিটি নিকট পৌঁছাতে পারে। নিরাপদ তথ্য আদান-প্রদানই হচ্ছে বিশ্বগ্রামের মূল ভিত্তি। নিরাপদ তথ্য প্রদানের জন্য প্রয়োজন নিরাপদ নেটওয়ার্ক বা কানেকটিভিটি।
৪. ডেটা (Data): ডেটা হলো সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খলা ফ্যাক্ট (Raw Fact)। ডেটাকে প্রসেসিং বা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমেই ব্যবহারযোগ্য ইনফরমেশন বা তথ্যে পরিণত করা হয়। বিশ্বগ্রামে বসবাস করতে প্রয়োজন বিভিন্ন তথ্য যা ডেটা থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রসেসিং করে পাওয়া যায়। বিশ্বাগ্রাম ডেটা ও তথ্যকে মানুষের প্রয়োজনে একে অপরের সাথে বিনামূল্যে বা অর্থের বিনিময়ে সেয়ার করতে হয়।
৫. মানুষের সক্ষমতা (Capacity): বিশ্বগ্রামের উপাদানগুলো মধ্যে মানুষের সক্ষমতা অন্যতম। যেহেতু বিশ্বগ্রাম মূলত তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর তাই তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে মানুষের সচেতনতা, স্বাক্ষরতা ও সক্ষমতা ইত্যাদির উপর এর প্রয়োগ নির্ভর করছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো ব্যবহার করার জ্ঞান না থাকলে এর সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া যে কোন বিষয়ে জ্ঞান আহরণ বা বিতরণের জন্য এই প্রযুক্তিতে মানুষের সক্ষমতা প্রয়োজন।
খ. উইকিপিডিয়ার উদ্ধৃতি অনুযায়ী- “বিশ্বগ্রাম হচ্ছে একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কাঠামো। (The global village is the sociological and cultural structure.)”
বিশ্বগ্রামের সুবিধা :
১. পুরো পৃথিবী মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। দূরত্বের ব্যবধান এখন আর কোনো বিষয় নয়।
২. তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ বর্তমানে গোটা বিশ্বের সাথে অতি সহজে যোগাযোগ করতে পারছে।
৩. ইন্টানেটের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে অন্য প্রান্তের খবর অতি অল্প সময়ে নেয়া যাচ্ছে।
৪. আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে একদেশের লোক অন্য দেশের কোনো বায়ারের কাজ ঘরে বসেই করতে পারছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারছে।
৫. ই-লানির্ং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বিশ্বের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসেবা গ্রহণ করতে পারছে।
৬. অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারছে।
৭. টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে নিজ দেশে থেকেই বিশ্বের অন্য কোনো দেশের দক্ষ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপথ্য নিতে পারছে।
৮. সাংস্কৃতিক তথ্যাদি বিনিময় করতে পারছে।
৯. বিশ্বভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হচ্ছে।
বিশ্বগ্রামের অসুবিধা:
১. ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ্যাকিং এ মাধ্যমে গোপনীয় তথ্য চুরি হচ্ছে।
২. সাইবার আক্রমণ সংঘটিত হচ্ছে।
৩. ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরির মাধ্যমে ই-কমার্স পদ্ধতিটিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
৪. টরেন্ট বা ফাইল শেয়ার সাইটগুলোর মাধ্যমে কপিরাইটের বস্তুসমূহের বিতরণ ও ব্যবহার উৎসাহিত হচ্ছে।
৫. পর্ণোগ্রাফির মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
৬. মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘিত হচ্ছে।
বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রধান উপাদানসমূহঃ-
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রামের ধারণা সহজেই বাস্তবায়ন ও এর প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। নিচে বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রধান উপাদানসমূহের বর্ণনা দেয়া হলো। যথাঃ
১. হার্ডওয়্যার (Hardware) : বিশ্বগ্রামে যে কোন ধরনের যোগাযোগ ও তথ্য আদানÑপ্রদানের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত হার্ডওয়্যার সমাগ্রীর। হার্ডওয়্যারের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার এবং এর সাথে সংযুক্ত পেরিফেরাল যন্ত্রপাতি, ল্যান্ড বা মোবাইল ফোন, স্মার্ট ফোন, অডিও-ভিডিও রেকর্ডার, স্যাটেলাইট, রেডিও, টেলিভিশন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুুক্তি নির্ভর বিভিন্ন ডিভাইস।
২. সফটওয়্যার (Software): বিশ্বাগ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি সফটওয়্যার প্রয়োজন। সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজিং সফটওয়্যার, কমিউনিকেটিং সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং ভাষা ইত্যাদি।
৩. নেটওয়ার্ক সংযুক্ততা বা কানেকটিভিটি (Connectivity): বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড হলো নিরাপদভাবে রিসোর্স শেয়ার করার নেটওয়্যার্ক বা কানেকটিভিটি যার মাধ্যমে উপাত্ত ও তথ্য প্রতিটি নিকট পৌঁছাতে পারে। নিরাপদ তথ্য আদান-প্রদানই হচ্ছে বিশ্বগ্রামের মূল ভিত্তি। নিরাপদ তথ্য প্রদানের জন্য প্রয়োজন নিরাপদ নেটওয়ার্ক বা কানেকটিভিটি।
৪. ডেটা (Data): ডেটা হলো সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খলা ফ্যাক্ট (Raw Fact)। ডেটাকে প্রসেসিং বা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমেই ব্যবহারযোগ্য ইনফরমেশন বা তথ্যে পরিণত করা হয়। বিশ্বগ্রামে বসবাস করতে প্রয়োজন বিভিন্ন তথ্য যা ডেটা থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রসেসিং করে পাওয়া যায়। বিশ্বাগ্রাম ডেটা ও তথ্যকে মানুষের প্রয়োজনে একে অপরের সাথে বিনামূল্যে বা অর্থের বিনিময়ে সেয়ার করতে হয়।
৫. মানুষের সক্ষমতা (Capacity): বিশ্বগ্রামের উপাদানগুলো মধ্যে মানুষের সক্ষমতা অন্যতম। যেহেতু বিশ্বগ্রাম মূলত তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর তাই তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে মানুষের সচেতনতা, স্বাক্ষরতা ও সক্ষমতা ইত্যাদির উপর এর প্রয়োগ নির্ভর করছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো ব্যবহার করার জ্ঞান না থাকলে এর সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া যে কোন বিষয়ে জ্ঞান আহরণ বা বিতরণের জন্য এই প্রযুক্তিতে মানুষের সক্ষমতা প্রয়োজন।
Post a Comment